কষ্ট অ্যান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নভেম্বর ২২, ২০২১
আসলে নাদিয়ার সাথে কথা বলার পর,
টাকাতো দিবে না বরং কথা শোনাবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে
--ঠিক আছে ভাই,হাতমুখ ধুয়ে আয়খেতে দিই।
>নাহ খেতে ইচ্ছা করছে না,টাকার খোজে
>কাল সারাদিন মাকে দেখতেই যায় নি।
--ডাক্তারসাহেব,,,মা,কেমমমমমম,,,?(কথাটাশেষ নাকরতেই,ডাক্তারসাহেববলতে লাগল)
---আরে আবির সাহেব যে,আপনার মা সুস্হ আছে। কোন সমস্যা নাই কিছুদিন পরেই আপনার মা কে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
--মা সুস্হ, অপারেশন কীভাবে কিছুই তো
--আপনার স্ত্রী এসেই তো গতরাতে টাকা
--আমার স্ত্রী মা,মা,মানে,,,?
--ভাইয়া তুই এসেছিস,
--ছুটকি তুই এখানে,?মা কেমন আছো তুমি?
--এইতো বাবা ভাল আছি।কি অবস্হা করেছিস শরীরের তুই।
--না মা এইতো ঠিক আছি।
--ছুটকি এদিক আয় তো, কি হয়েছে বলতো
--আচ্ছা তুই মা"র কাছে থাক, আমি তোর ভাবির সাথে দেখা করে আসি।
.
>মাথা থেকে যেনো কত বড় একটা
.
--নাদিয়া টাকা টা আমি শোধ করে
--তোমাকে টাকা শোধ করার কথা বলার জন্য এখানে ডাকেনি। (রাগান্বিত কন্ঠে)
--না মানে,
--আমাকে বিয়ে করবা কবে বলো?
--আসলে তোমার টাকাটা শোধ করেনি
--টাকা শোধ করতে পারলে বিয়ে করবা তো?
--তাহলে মনে করো ঐ টাকা তোমার শশুর
--আসলে,,,?
--জানই তো ফোনটা বন্ধ ছিলো।
--হইছে আর অজুহাত দেখানো লাগবে না।
--এভাবে বিয়ে করবা?
Bangla Golpo দারুন একটা গল্প আগে সম্পর্ন গল্পটি পড়ুন। --এই চলো না আমরাবিয়ে করে ফেলি? --কাকে বিয়ে করব? --কাকে বিয়ে করবামানে?আমাকে বিয়ে করবি? ...
গল্পটির নামঃ-বিয়ে পাগলের পাগলি
গল্পটির নামঃ-বিয়ে পাগলের পাগলি
কষ্ট অ্যান
8
10
99
Bangla Golpo
দারুন একটা গল্প আগে সম্পর্ন গল্পটি পড়ুন।
--এই চলো না আমরাবিয়ে করে ফেলি?
--কাকে বিয়ে করব?
--কাকে বিয়ে করবামানে?আমাকে বিয়ে
করবি?
--কেনো তোমাকে বিয়ে করব?
--মানে কী?তুমি আমাকে ভালবাসো
না?
--হুম ভালবাসলেই বিয়ে করতে হবে নাকি?
--হুম সবাই তো তাই করে প্রেমের পরে বিয়ে?
--সবাই করে করুক,আমি সবার মত না,কবিগন বলে গেছে, যাদের সাথে প্রেম করবে তাকে কখনোই বিয়ে করবে না।
--কী বলছো এসব?
--হুম ঠিকই বলছি।দাঁত উঠছে?
--কার?
--তোমার?
--মানে?
--মানে তুমি যে বিয়ে করবা তোমার দাঁত উঠছে?
---বিয়ে করার সাথে দাঁতের সম্পর্ক কী?
--আছে সম্পর্ক, আক্কেল মাড়ি উঠছে?
--না মানে সেটা কী?
--থাক,তাহলে আমি বেআক্কেলে মেয়ে বিয়ে করতে পারবো না।
--এই দেখো আমি কিন্তু কেঁদে দিবো?
--এই নাও?
--এটা দিয়ে কী করব?
--যখন কাঁদবে তখন এই টিসু দিয়ে চোখ মুছবে।
.
>যা মেয়েটা সত্যি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।পাগলী একটা বোঝেও না ওকে ছাড়া আমার একমুহূর্ত চলে না।আসলে নাদিয়া যখন বিয়ের কথা বলে তখন আমি ওকে এভাবেই রাগিয়ে দিই, যার ফলে দুই - তিন
দিন কথা বন্ধ।আমাকেই আবার তার অভিমান ভাঙাতে হয়। আজকে মনে হয় একটু বেশীই কষ্ট পেয়েছে। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বিয়ে করলে তো হয় না,ছোট একটা জব করি কোনরকম মা আর বোন কে নিয়ে
সংসার চলে।মা'র ও শরীর টা তেমন ভাল যাচ্ছে না।
.
--ডাক্তার সাহেব মা"র কী হইছে?
--হার্টের সমস্যা,৩ দিনের মধ্যে অপারেশন করাতে হবে না হলে কোন অঘটন ঘটতে
পারে।
<কথাটা শুনেই বুকের
মধ্যে হু হু করে কেঁদে উঠল,কোন মতে
নিজেকে সামলিয়ে নিলাম।
--কত টাকা লাগবে ডাক্তার সাহেব?
--সব কিছু দিয়ে ৩০ হাজার হলে হয়ে যাবে।
.
কথাটা শুনেই যেনো বাজ পড়ল মাথায়। এত্তগুলা টাকা কোথায় পাবো বুঝতেছি না। গতরাতে একটুও ঘুম হয়নি টাকার টেনশনে।ফোনটাও হারামি করছে
আমার সাথে।না আছে ব্যালেন্স না আছে
চার্জ। নাদিয়া আবার না জানি টেনশন করে
বসে। এমনি তে সেদিন অভিমান করছে।।।
.
আসলে নাদিয়ার সাথে কথা বলার পর,
বাড়ীতে এসেই দেখি মা অসুস্হ হয়ে
গেছে যার ফলে মা এখন বি- বাড়ীয়া সদর
হসপিটালে ভর্তি
.
অফিসের বসের কাছ থেকে যে টাকা
নিবো তারও উপায় নেই,মাসও পুজতে এখনো দশদিন বাকি।
টাকাতো দিবে না বরং কথা শোনাবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে
বাসায় চলে এসেছি বুঝতে পারিনি।
--ভাইয়া মার কী হইছে?
--তেমন কিছু নারে, সব ঠিক হয়ে যাবে।
--আমি মার কাছে যাবো।
--সন্ধ্যা বেলা এসে আমি তোকে নিয়ে
যাবো।
--ঠিক আছে ভাই,হাতমুখ ধুয়ে আয়খেতে দিই।
>নাহ খেতে ইচ্ছা করছে না,টাকার খোজে
আবার বেরিয়ে পড়লাম। যত সমস্যা কী এই মধ্যবিত্তদেরই হয়,জীবন টা বড়ই কঠিন এই মধ্যবিত্তদের জন্য, নূন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্হা।
.
.
সারাদিন কারো কাছে গিয়েও টাকা পেলাম না।সবাই কোন না কোন অজুহাত দিলো হয়তো ভাবে যদি টাকা ফেরত দিতে না পারি।আসলে বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায়। নাহ বাড়ীতে আর যেতে ইচ্ছা করছে না। বাড়ীতে গেলেই ছুটকি আবার বায়না ধরবে মার কাছে যেতে। নাহ আজ আর বাড়ীতে
যেতে ইচ্ছা করছে না
.
--কোনমতে পার্কের বেঞ্চেই শুয়েই রাতটা কাটিয়ে দিলাম।
>কাল সারাদিন মাকে দেখতেই যায় নি।
আজ একটু দেখে আসি। নার্সরা এখন আর টাকা না দিলে রোগীর খেয়াল কম রাখে। সব এখন টাকার খেলা। টাকা থাকলে বাঘের চোখও মেলে এখন।টাকা যেখান থেকেই হোক জোগাড় করতে হবে সেটা ডাকাতি কিংবা চুরি করে।
.
>হসপিটালে ঢুকতেই ডাক্তার সাহেবের সাথে দেখ্খা।
--ডাক্তারসাহেব,,,মা,কেমমমমমম,,,?(কথাটাশেষ নাকরতেই,ডাক্তারসাহেববলতে লাগল)
---আরে আবির সাহেব যে,আপনার মা সুস্হ আছে। কোন সমস্যা নাই কিছুদিন পরেই আপনার মা কে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
--মা সুস্হ, অপারেশন কীভাবে কিছুই তো
বুঝতেছি না।আমি তো টাকা দেয়নি।
--আপনার স্ত্রী এসেই তো গতরাতে টাকা
জমা দিলো।তাই দেরি না করে গতরাতেই অপারেশন করে দিলাম।
--আমার স্ত্রী মা,মা,মানে,,,?
---আরে আবির সাহেব আর মানে মানে করা লাগবে না।যান মায়ের কাছে যান।
>কিছুই মাথায় ঢুকতেছে না।কিভাবে কী
হলো।
--ভাইয়া তুই এসেছিস,
--ছুটকি তুই এখানে,?মা কেমন আছো তুমি?
--এইতো বাবা ভাল আছি।কি অবস্হা করেছিস শরীরের তুই।
--না মা এইতো ঠিক আছি।
--ছুটকি এদিক আয় তো, কি হয়েছে বলতো
আমাকে।
-- গতরাতে ভাবি নিয়ে এসেছে।
--ভাবি মানে?
--তুই সকালে বেরিয়ে যাওয়ার পর নাদিয়া ভাবি আসছিলো তোর কাছে।তুই নাকি
দুদিন ধরে ফোন বন্ধ রেখেছিস।আর
আমার কাছ থেকে সব শুনে বলল রাতে এসে আমাকে নিয়ে যাবে। তারপরই তো সব হলো।
--হুম বুঝলাম
--ভাইয়া ভাবি টা অনেক সুন্দর।কবে বিয়ে করলিরে, এতো সুন্দর ভাবিকে রাখবি কোথায়।
--এতো বুঝে তোর কাজ নেই।
--ভাইয়া শোন আসল কথা বলতেই তো ভুলে
গেছি,ভাবি তোকে বিকাল ৪ টাই দেখা করতে বলেছে।
--আচ্ছা তুই মা"র কাছে থাক, আমি তোর ভাবির সাথে দেখা করে আসি।
.
>মাথা থেকে যেনো কত বড় একটা
বোঝা নেমে গেলো।যদি কোন ভালবাসার বোঝাটা নামিয়ে দেয় তাহলে তার
সুখরে অনুভূতিটা অন্যরকম।এসব মেয়েকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। আর দৌড়াতে দৌড়াতে বিয়া করা
যায়।
.
বিকাল ৪ টা,,,,, দুজনের মুখে কোন কথা নেই।জানি নাদিয়া কথা বলবে না।তাই আমাকে শুরু করতে হবে,
--নাদিয়া টাকা টা আমি শোধ করে
দিবো আস্তে আস্তে মাসের বেতন পেলে।
--তোমাকে টাকা শোধ করার কথা বলার জন্য এখানে ডাকেনি। (রাগান্বিত কন্ঠে)
--না মানে,
--আমাকে বিয়ে করবা কবে বলো?
--আসলে তোমার টাকাটা শোধ করেনি
তারপরে চিন্তা করব,
--টাকা শোধ করতে পারলে বিয়ে করবা তো?
--হ্যা,না মানে,,,,?
--ঠিকআছে,,,মনে করো ঐ টাকা শশুর বাড়ী থেকে যৌতুক নিছো।
--না আমি যৌতুক নিবো না।
--তাহলে মনে করো ঐ টাকা তোমার শশুর
আমাকে দিছিলো।আর আমি আমার স্বামীকে দিছি।এবার হইছে তো।
--আসলে,,,?
--আসলে তুমি যে কতটা পর ভাবো আমাকে সেটা বোঝা হয়ে গেছে।
তোমার মা"র এই অবস্হা একবার জানানোর প্রয়োজনবোধ করলে না আমাকে।
--জানই তো ফোনটা বন্ধ ছিলো।
টেনশনে কিছুই মাথায় আসেনা।
--হইছে আর অজুহাত দেখানো লাগবে না।
চলো,,,,,
--কোথায়?
--বিয়ে করতে,,?
--এখন মানে কীভাবে,তোমার বাবা- মা
জানলে,,,?
--যেভাবে আছি সেভাবে।আর বাবা-মা সব জানে।তারা তার মেয়ের সুখের জন্য সব
করতে পারে সেটা তুমি ভালই জানে।
--এভাবে বিয়ে করবা?
--তোমার তো টাকা নেই তাই এভাবেই বিয়ে করব।টাকা যখন হবে তখন ধূমধাম করে করবে,,,
সমাপ্ত গল্প
--কেমন হয়েছে অবশ্য জানাবেন সবাই __
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)