কষ্টের গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

Bangla Golpo লেখকঃ জহিরুল_ইসলাম পরিবারের ইচ্ছেতে দুই ভাই একত্রে বিয়ে করলাম। বড় ভাইয়ের বউটা একদমি অশিক্ষিত। আমার কাছে ক্ষ্যাত মার্কা লাগতো। ক...

ছোট_গল্প গল্পঃঅভিনয়

ছোট_গল্প গল্পঃঅভিনয়

কষ্টের গল্প

8 10 99

Bangla Golpo

লেখকঃ জহিরুল_ইসলাম



পরিবারের ইচ্ছেতে দুই ভাই একত্রে বিয়ে করলাম। বড় ভাইয়ের বউটা একদমি অশিক্ষিত। আমার কাছে ক্ষ্যাত মার্কা লাগতো। কারো সাথে কথা বলতো না। ভাইয়ের থাকা বন্ধু গুলো ভাবিকে দেখতে চাইলেও তাদেরকে মুখ দেখাতো না। মাথার উপর বড় ঘোমটা দিয়ে চা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

আর এদিকে আমার বউ তুলনা স্বরুপ অনেক শিক্ষিত ভাবির চেয়ে। সারাক্ষন জীন্স টপ পড়ে থাকে। আমার বন্ধুরা আসলে তাদের সামনে গিয়ে হাসি ঠাট্টাই ব্যস্ত থাকতো। নিজের কাছে ব্যাপার গুলো খুবি ভালো লাগতো। বন্ধুরাও বউয়ের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলতো। এসব কান্ড দেখে রীতিমত রাগ চরম সীমায় পৌছায় আমার। কে শোনে কার কথা। কাজের বুয়ার সাথে সারাক্ষন চেঁচামেচি করে যেতেই থাকতো। বউয়ের কাছে মনেই হতো না যে কাজের বুয়াও মানুষ। কিভাবে ওর মানসিক পরিবর্তন করা যায় এটা ভেবে পাচ্ছিলাম না।

বউয়ের অত্যাচারে কাজের বুয়াটা অসুস্থ হয়ে যায়। তাই কিছুদিন কাজ করতে আসেনি। আর এদিকে বউটা আমার চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলে রাখছে।
একদিন রাত এগারোটার দিকে বউ বলছে-
--- এই শুননা! আমার নাটকে অভিনয় করার খুব ইচ্ছে। আর তুমি তো সারাক্ষন দেখি লেখালিখি নিয়ে ব্যস্ত থাকো। আমার জন্য একটা স্ক্রিপ্ট লিখো না?
বউয়ের কথা শোনে মুহূর্তেই মাথা বিগড়ে যায় আমার। যার নাকি ব্যবহারই ঠিক নেই সে করবে নাটক। ভাবছি আর একা একা হাসছি। আমার হাসি দেখে বউ বললো-
--- তুমি এভাবে হাসছো কেন কথা শোনে?
- তোমার মাঝে ধৈর্য বলতে কিছু আছে? তুমি করবে আবার নাটক! ব্যাপারটা কত হাস্যকর একবার ভাবোতো! যদি ধৈর্যই থাকতো তাহলে এখন এভাবে বলতে পারতে না।
--- জ্বী না! আমি পারবো। তুমি লিখবে কিনা তাই বলো?
- হ্যাঁ লিখবো।
বউয়ের কথা শোনে হাসিতে ঘুম আসছিল না। যার কোনো চরিত্র বলতে কিচ্ছু নেই তার মুখে অভিনয়ের কথা। আবার এটাও ভাবলাম, ও তো অভিনয় খুব ভালো ভাবে করতে জানে। ওকে দিয়েই কাজ হবে। দেখি বুঝিয়ে শুনিয়ে ওরে ঠিক করতে পারি কিনা। ব্যাপার গুলো বড় ভাই-ভাবি, মা-বাবার কাছে শেয়ার করলাম। শোনে সবাই হাসছে আমাকে নিয়ে। বলছে বউয়ের সাথে সাথে আমিও নাকি পাগল হয়েছি।
তার দুই দিন পর রাতে বউকে বললাম-
--- এই শুননা! তোমাকে নিয়ে অলরেডি আমার স্ক্রিপ্ট লেখা হয়ে গেছে। তুমি খুব শিগ্রই নাটকে অভিনয় করতে পারবে। তোমাকে পুরো দেশের মানুষ চিনবে। তখন তুমি তো আবার আমাকে চিনবে?
আমার কথা শোনে ও খুশিতে আত্মহারা প্রায়। মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না। শুধু হাত নাড়াচ্ছে।
 
- সত্যি লিখছো? এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে লিখছো? তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাইনা?
 
ওর মুখে ভালোবাসার কথা শোনে হাসছি আর ভাবছি " ভালোবাসা না ছাই" তোমারে সায়েস্তা করনের কৌশল অবলম্বন করতেছি।
--- কিন্তু একটা সর্ত আছে? সেটা হচ্ছে, তুমি তো নাটকে প্রথম অভিনয় করতে যাচ্ছো। তাই তোমাকে তারা ছোট-খাটো ক্যারেক্টার দিবে।
আমার কথা শোনে ও রেগে বললো-
- আমার চেহারা কি কোনো অংশে কারো চেয়ে কম? নাটকে দেখি কত কালো মেয়ে মেকাপ মেরে ফর্সা হয়ে অভিনয় করে। আর আমার তো মেকাপ করা লাগবে না। এমনিতেই পার্ফেক্ট আমি।
--- অাহ্ তুমি ব্যাপারটা বুঝছো না কেনো? তুমি তো নতুন। একবারেই তো নায়িকার চরিত্রে অভিনয় দিবে না তারা।
কিছুটা চুপ থাকার পর ও ভেবে বললো-
- আচ্ছা আমি রাজি। তবে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে হবে আমাকে তাই বলো।
--- কাজের বুয়া হিসেবে। তবে নাটক করে বড় ক্যামেরা দিয়ে আর আমরা করবো মোবাইল দিয়ে।
এটা শোনে খুশির পরিবর্তে রাগে আগুন।
- কিহ্! কাজের বুয়ার অভিনয় করবো তাও আবার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে তুমি?
--- আরে এতো রাগাচ্ছো কেনো তুমি? ক্যামেরার করা নাটক তো বেশি ভাইরাল হয়না। আর দেখো মোবাইল দিয়ে ভিডিও করলে কোটি কোটি মানুষ তোমাকে চিনবে জানবে।
কিছুটা রাগ কমিয়ে বললো-
- আচ্ছা আমি রাজি। কবে থেকে অভিনয় শুরু করতে হবে তাই বলো?
--- কাল থেকেই আমরা নাটক করা শুরু করতে পারি।
এদিকে মনের মধ্যে খুব ভয় হচ্ছে আমার। যদি ও কোনো ভাবে আমার করা প্লান বুঝতে পারে আমি শিউর ও আমাকে তালাক দিয়ে চলে যাবে। যা করার বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হবে।
অভিনয় যেহেতু কাজের বুয়ার তাই কাজের বুয়াকে আমি ১৫ দিনের ছুটি দিলাম। কাজের বুয়া ছুটির কথা শোনে মন মরা হয়ে আছে। বুঝতে পারছি বুয়া কিসের জন্য মন মরা হয়ে আছে। ওর মন মরা দেখে বুয়াকে বললাম- খালা, আপনাকে ছুটি দিয়েছি ঠিকই তবে বেতন ঠিক ভাবে পাবেন। আপনি পনেরো দিন আরাম করেন। ছুটি পেয়ে খালা খুশি হয়ে আমার জন্য মঙ্গল কামনা করতে থাকে। গরিবের করা মঙ্গল কামনা একদিন ঠিকই সফল হবে এটা আমার বিশ্বাস। ব্যাপার গুলো বাড়ির সবাইকে ক্লিয়ার ভাবে বললাম। তারাও ভয় পাচ্ছে খানিকটা। তবুও মনের ভিতর সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। এদিকে কাজের বুয়া চলে যাওয়ার সময় তার যত ময়লা জামা-কাপড় সব আমি নিয়ে আসি বউয়ের জন্য।
আজ নাটকের প্রথম দিন। বউকে সোজা বলে দিলাম কোনো রকম সাজুগুজু করা যাবে না। তোমার ক্যারেক্টার কাজের বুয়া। কোনো জমিদারের মেয়ে না।
সাজুগুজু বাদ দিয়ে ময়লা জামা-কাপড় পরলো। বউ ময়লা কাপড় পড়ে বললো-
--- এরকম ময়লা কাপড় কেউ পড়বে?
ওর কথা শোনে খুব রাগ হচ্ছিল তখন আমার।
- কাজের বুয়া পড়তে পারলে তুমি পারবে না কেন? তুমি হীরার তৈরি নাকি? যদি পড়তে না পারো তাহলে নাটকে অভিনয় করতে হবে না।
--- না না! আমি পারবো। সব পারবো আমি।
এদিকে বাড়ির সদস্যদের সব ময়লা কাপড় একত্রে আমি গুছিয়ে রেখেছি বউয়ের জন্য। কাপড় গুলো ওর সামনে ছুড়ে মেরে বললাম-
- এই নে ফকিরের বাচ্চা। দশ মিনিটে কাপড় পরিষ্কার করে থালা-বাসন ধুয়ে দিস।
বউকে গালি দেয়াতে ও আমার সাথে রাগ দেখিয়ে বললো-
--- কিহ্ আমি ফকিরের বাচ্চা? এই বুয়ার অভিনয় আমি করতে পারবো না।
আমি অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে বললাম- তাহলে আমি নাটক বন্ধ করে দেই?
- না, আমি করবো।
এভাবে কিছুদিন কাজ করতে করতে দেখি বউটা আমার শুকিয়ে যাচ্ছে। আমার ঝারি, মা-বাবার গালি এগুলোও যেন মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে শুধু অভিনয়ের জন্য। কিছুতেই আর কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। তবুও আমি আরো বেশি বেশি চাপ দিচ্ছি শুধু বুঝানোর জন্য। কাজের বুয়াও আমাদের মত মানুষ। তাদেরও মন বলে কিছু আছে।
বারো দিন হতে চলছে নাটকের। বউয়ের মাঝে অনেক পরিবর্তন আসছে। সবার সাথে ফ্রি ভাবে এখন কথা বলছে। বাড়ির সব কাজ না বলাতেই একা একা করছে। কিছু ভুল হলেই আমি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছি। ও কাঁন্না করে দেই আমার গালি শুনে।
এক পর্যায়ে বলে উঠলো-
--- আমি আর বুয়ার অভিনয় করতে পারবো না। ক্ষমা চাচ্ছি।
- তাহলে বুঝতে পেরেছো সকল বুয়া গুলো কত কষ্ট করে অন্যের বাড়ি গিয়ে কাজ করে! এসব কিছু ছিল আমার সাজানো প্লান। যাতে তোমার বিবেক জাগ্রত হয়।
বউ আমার কথা শোনে কেঁদেই দিল। আমার কাছে সে মাথা নত করে ক্ষমা চাচ্ছে। সে নিজে গিয়ে বুয়ার কাছেও ক্ষমা চেয়ে আসে।
(সমাপ্ত)


Bangla Golpo ____ প্লিজ একটু সময় করে পুড়ো গল্পটা পরেন । গল্পটা পড়ে না কেঁদে কেউ যেতে পাড়বেন না। - তোকে কতো বার বলবো আমার কাপড় গুলা একটু ভালো...

গল্প_শুধুই_অবহেলা

গল্প_শুধুই_অবহেলা

কষ্টের গল্প

8 10 99

Bangla Golpo


____ প্লিজ একটু সময় করে পুড়ো গল্পটা পরেন ।
গল্পটা পড়ে না কেঁদে কেউ যেতে পাড়বেন না।
- তোকে কতো বার বলবো আমার কাপড় গুলা একটু
ভালো করে পরিষ্কার করবি
...বুঝিনা বাবা তোকে কি করতে এই বাড়িতে
 রেখেছে.....
শুধু শুধু আমার বাবার অন্য ধংস্স করছে.....
 তোর বাবা,মা গেলো তো গেলো তোকে
কেন নিয়ে গেলো না লে জানে...
আপদ একটা...
এবার জদি ভালো করে পরিষ্কার না করিস না তাহলে
মাকে বলে আজ তোর খাওয়া বন্ধ করে দিবো!
(কথা গুলো দিপা আপু হন হন করে চলে গেলো
 আর আমার আকাশ থেকে টুপটাপ বৃষ্টি নামতে শুরু
করলো)
 কি ভাবছেন ওপোরের কথা গুলো কেন আমাকে
 বললো???
তাহলে শুনন
আমি সাকিব আলী....আর পাচটা
 ছেলেমেয়েরমতো আমার জীবন না,,,
 ইন্টার ফাস্ট ইয়ার এ পরি....
আর যে আমাকে কথা গুলো বললো সে আমার
 চাচাতো বোন সাবরিনা আলম দিপা!
 আমি এতিম মানে মা,বাবা কেউ নেই! আমাকে
 রেখে তারা ঐ আকাশের তারা হয়ে গেছে....
 আমার বয়স যখন ৫ বছর তখন তারা একটা রোড
 এক্সিডেন্টে মারা যাই!
 তারপর থেকেই চাচা,চাচির বাড়ি তে আছি,,,,
তবে বাড়ির ছেলে হয়ে নই কাজের মানুষ হয়ে,,,,
একটু আগে বললাম না আমি এতিম কিন্তু আমি ভাবি আমি
এতিম না আমি তো চাচা,চাচিকে নিজের মা, বাবা ভাবি,
আর দিপা আপুকে নিজের বোন,
কিন্তু চাচা আমাকে নিজের ছেলে ভাবলেও
চাচি,আর আমার বোনটা আমাকে কাজের লোক ছাড়া
কিছুই ভাবে না...
 আমাকে এমন কোনো দিন নেই যে চোখের
 পানি ফেলতে হয় না!
অনেক কান্না করি রাতে,,
 শুধু যে আমাকেঅপমান অবহেলা করে তা না,
আমাকে অনেক মারধোর ও করা হয়,,
কেউ যদি আমার পিঠ দেখে তাহলে হতোবাক
হয়ে যাবে কারন অনেক লাঠির দাগ আছে!
আমি যে পড়ালেখা করছি সেটাও সবার সাথে লড়াই
 করে কারন আমার আম্মু, আব্বু আমাকে সব সময়
 বলতো তোকে অনেক বড় হতে হবে,
মানুষের মতো মানুষ হতে হবে!
 তখন কথাটা বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝি তাই শতো
 কষ্টের মাঝেও পড়া লেখা টা চালিয়ে যাচ্ছি!
 আপনারা ভাবছেন এতো কষ্টের মাঝে আমি
এখানে আছি কেন,,,
কারন আমি যে চাচা,চাচি দিপা আপুকে অনেক
 ভালোবাসি!
 তাই ছেড়ে যেতে পারি না!
এতো শুনলেন আমার অতীত এখন বাস্তবে আসি
.......... 
হুমমম সব কাপড় ধোয়া শেষ করে এখন ঘর
মুছছি.....
হটাৎ কিছু পরার শন্দ পিছনে ঘুরে দেখি একটা ফুলদানি
পরে ভেঙে গেছে!
হায় হায় এটা আমি ভেঙে ফেলাম এখন কি হবে.....
আর এদিকে শব্দ পেয়ে চাচি সাথে সাথে দৌড়ে
আসে তারপর দেখে ফুলদানি টা ভেঙে
 গেছে,,,,,,
চাচি→ কি করে ভাংলো???
আমি→ আসলে চাচি আমি বুঝতে পারিনি যে
পিছোনের টেবিলে ফুলদানিটা ছিলো.....
তাই কিভাবে যেন লেগে পড়ে ভেঙে যায়!
 ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
 চাচি→ এটা কি তোর বাপের টাকায় কিনা,,,,
দেখে কাজ করতে পারিস না,,,
 জানিস এটা দিপার কতো প্রিয়ো!
আমি→...................
 চাচি→ আজ তোর খাওয়া বন্ধ,
আপদ একটা কি করতে যে তোর বাবা,মা তোরে
রেখে গেলো কে জানে!
 সাথে করে নিয়ে গেলেই ভালো হতো!
আমি→............ (চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে)
 চাচি,→ হামজাদা দাড়িয়ে আছিস কেন এগুলো কি
 তোর মরা মা এসে পরিস্কার করবে
তারপর আমি সেই ভাঙা টুকরো গুলো পরিস্কার
করতে লাগলাম.......
আউচচচ হাতটা কেটে গেলো,,,
রক্ত বের হচ্ছে আসলেই আমি কোনো কিছু
পারি না!
পরুক রক্ত......
হাত কাটাতে তো সামান্য কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তার
চেয়েও তো অধিক কষ্ট লাগলো চাচির কথা
গুলো শুনে........
আচ্ছা চাচি কি আমাকে একটু আদর করতে পারে না,,,
দিপা আপুকে তো কতো আদর করে,,,
আমার ও তো ইচ্ছে করে একটু আদর পেতে!
চাচি কেন তাকে মা বলতে বারন করে আমারও তো
অনেক ইচ্ছে হয় আমিও কাউকে মা বলে
ডাকি............
এখন আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি দুপুরে কিছু
খেতে দাইনি ভেবেছিলাম রাতে খাবো কিন্তু দিপা
আপু ফুলদানি টা আমি ভেঙেছি জেনে সে আমার
রাতের খাওয়া অফ করে দিয়ে.....
অনেক খুদা লেগেছে সারাদিনে শুধু পানি খেয়ে
আছি তাই মাথাটাও অনেক ব্যাথ্যা করছে.....
চাচাকে আমি এসব বলিনা,,,চাচা যদি এসব জানতে পারে
তাহলে অনেক কষ্ট পাবে আর সংসারে অশান্তি
সৃষ্টি হবে......
মাঝে মাঝে আমার এই নিষ্ঠুর সমাজে থাকতে মন
চাইনা,,,,
মা,বাবার কাছে যেতে চাই...
অনেক কষ্ট হয় যখন আপু আর চাচি বলে, আমাকে
কেন আমার বাবা,মা সাথে করে নিয়ে গেলো
না.....
চাচি কেন আমাকে তার ছেলে ভাবতে পারেনা,
আমার তো খুব ইচ্ছে হয় চাচিকে মা ডাকতে,
চাচি তো দিপা আপুকে নিজের হাতে খাইয়ে দাই,,,
চাচি কি বুঝতে পারে না আমারও তো খুব ইচ্ছে
করে তার হাতে খেতে ,,,
কিন্তু আমাকে তো ঠিক মতো খেতেই দাই না,,,
আর দিপা আপু সব সময় আমার সাথে ওমন করে
কেন আমি তো তার ছোট ভাই আমার সাথে তো
একটু ভালো ব্যবহার করতে পারে....
কেন আমাকে সবার সামনে তার ভাই বলে পরিচয় দাই
না,,,
কেন আমাকে আপু বলে ডাকতে বারন করে!
এসব কথা ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে অনবরত
পানি পরছে,,,,
কেউ দেখে না এই পানি কেউ বুঝে না আমাকে,,,,
এভাবেই চলছে আমার দিন কাল,,,
প্রতিদিন আমাকে অপমান হতে হয় আরো নানান কথা
শুনতে হয়.......
আজ কলেজে আসছি প্রায় ৭ দিন পর আসলাম
কলেছে.....
আমার বন্ধু বলতে তেমন কেউ নেই একটায়
আছে যাকে আমি সবকিছু বলি,
আসলে আমার সাথে তেমন কেউ বন্ধুতো
করতে আসে না,
আসবেই বা কি করে সবাই দামি দামি পোশাক পড়ে
কলেছে আসে আর আমার পোশাকের কথা নাইবা
বললাম,
বছরে দুইটা প্যান্ট,দুইটা শার্ট পাই,
তো সব গুলো ক্লাস করলাম,,,
তারপর ক্লাস শেষ করে আমার একমাত্র বন্ধু
রিফাতের সাথে কিছু কথা বলে বাসার উদ্দেশ্যে
রওনা দিলাম.....
রাস্তা দিয়ে হাটছি এমন সময় খেয়াল করলাম কয়েকটা
ছেলে একটা মেয়কে অনেক বাজে বাজে কথা
বলছে যা আমি মিখেও আনতে পারবো না,,,,
তাই আর সহ্য করতে না পেরে রাস্তার পাশ একটা রড
পরেছিল তা দিয়ে যে সবথেকে বাজে কথা বলছি
তার পায়ে মারি আর আমার হাতে রড দেখে বাকি
ছেলেগুলো পালিয়ে যাই,,,,,
মেয়েটা→ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া!
আমি→ আরে আপু এখানে ধন্যবাদের কি আছে,
আপনি তো আমার বড় আপুর মতো
আর আমার আপুকে এসব ছেলেদের হাত
থেকে রক্ষা করা দায়িত্ব!
তারপর আরো কিছু কথা বলে আমি বাসায় চলে
আসি......
বাসায় এসে বাড়ির যা যা কাজ ছিলো সব শেষ করি,,,
তারপর বিকেলের দিকে একটু ছাদে যায়,,,,
দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই ব্যস্ত শহরটাকে দেখছি,,,
হটাৎ কেউ আমাকে পিছন থেকে ডাকলো আর
আমি পিছনে ঘুরতেই......
ঠাসসসসসসসসসসসসসসস
ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস
আপু→ এই ছোটোলোকের বাচ্চা তোর সাহস
কি করে হয় রনিকে মারার
........ 
আমি→ কি বলছো আপু রনিকে মেরেছি মানে.....
আপু→আজ দুপুরে তুই কাকে রড দিয়ে মেরেছিস,
জানি ঐ টা আমার বিএফ আর তুই ওর গায়ে হাত তুললি,
তোকে আর এই বাড়িতে আমি থাকতে দিবো না,
আমি→ দেখ আপু ঐ ছেলেটা অনেক বাজে
বাজে কথা বলছিলো একটা মেয়েকে,
তাই আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি,
আর আমি জানতাম না ঐটা তোমার বিএফ,
আর ছেলেটা ভালো না আপু অনেক খারাপ.......
ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
সসসসসসসসসসসস
আপু→ তোর কাছে থেকে শিখতে হবে কে
ভালো আর কে খারাপ,
যার বাবা,মা নেই সে কি করে বুঝবে কে খারাপ
কে ভালো,
তোকে তো আমি বাড়ি থেকে বের করবোই
তুই আমার রনির গায়ে হাত তুলেছিস,,
কথা গুলো বলে আপু হন হন করে চলে
গেলো......
আর আমার আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে
গেলো!
আমি তো কোনো খারাপ কিছু করিনি তাহলে কেন
আমাকে এভাবে মারলো তারা কেন আমালে বারে
বারে মনে করিয়ে দাই আমি এতিম..
মা দেখছো তোমার ছেলেকে কেউ
ভালোবাসে না,
তোমরা কেন আমাকে রেখে গেলে মা,
আমি যে আর পারছি না জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে,
আমি যে অনেক ক্লান্ত মা অনেক ক্লান্ত!
এভাবে কেটে গেলো আরো বেশ কিছুদিন চাচা
কই দিনের জন্য দেশের বাহিরে গেছে,
এখন আমার ওপর অনেল বেশিই অত্যাচার হয় আমি
সব মুখবুজে সহ্য করি.....
প্রতিদিনের মতো আজো সকালে উঠে বাড়ির
সবকাজ শেষ করি,,,,,
হটাৎ আপু অনেক জোরে জোরে চিৎকার শুরু
করে তাই আমি সেখানে যায়,,,,,
আপু→ আমার আলমারি থেকে কে ২০ হাজার টা নিয়ে
নিয়েছে,,,,,
চাচি → কি বলিস এসব তোর টাকা আবার কে নিবে,,,
আপু→ তা আমি কি ভাবে বললো,
ফয়সাল তুই টাকাটা নিস নি তো????
আমি→ কি বলো আপু আমি কেন তোমার টাকা নিতে
যাবো,
চাচি→ তো বাড়ি তে আর কে আছে টাকা নেওয়ার
মতো হ্যা.....
আপু→ ঠিক বলেছো আম্মু,
আমরা ফয়সালে রুমে গিয়ে দেখি টাকাটা পায় কি না,
বলাতো যায় না কে টাকাটা চুরি করেছে.....
আমি→ আমি টাকা নিই নি আপু,,
আচ্ছা চলো আমার রুমে চলো,,
তারপর আমার রুমে গেলো অনেক খুজাখুজি
করলো হটাৎ......
আপু→ আম্মু এই দেখো টাকা ( অনেক গুলো টাকা
দেখিয়ে)
চাচা→ ওরে হারামজাদা তুই টাকা গুলা নিয়েছি,
দুধকলা দিয়ে তাহলে এতো দিন কাল সাপ পুষেছি
এতো দিন......
আমি→ চাচি বিশ্বাস করো টাকা গুলো আমি নিই নি!
আমি জানিনা এই গুলো আমার রুমে কিভাবে এলো,
আপু→ আম্মু তুমি এর কাথা না শুনে লোকজন
ডাকো তো চুরি করেছে শাস্তি তো পেতেই
হবে,,,
চাচি→শাস্তি মানে একে আর এই বাড়িতেই রাখবো
না,,,,,
তারপর আপু কাকে যেন ফোন করে আসতে
বললো,,,,
আমি চুপ করে আছি কারন আমি জানি এখানে বলে
কিছুই হবে না,,,,
আর আমি তো টাকা গুলো চুরি করিনি তাহলে টাকা
গুলো এখানে এলো কি করে,,,
কেই কি আমাকে ফাসাচ্ছে কাল রাতে তো আপু
আমার রুমে এসেছিল তাহলে কি আপুই আমাকে,,,,
হুম আপু তো বলেছিলো সে আমাকে আর এই
বাড়িতে থাকতে দিবেনা,
হুম এবার বুঝতে পারছি এসব আপুরই কাজ.....
এসব ভাবছি তখনি রনি এলো মানে যাকে আমি
মেরেছিলাম তার সাথে আরো কিছু ছেলে
এলো,,,
তারপর আমাকে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে অনেল
মারলো,,,
সেখানে আপুও ছিলো,
আপু→ কি রে আর মারবি আমার রনিকে,
এখন বুঝ ঠেলা,
মারো রনি মারো তোমার সব রাগ আজ শুদে
আসলে তুলে নাও,,,,
আমি তো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি,
আপু এটা আমার সাথে করতে পারলো,,
আমার যতো টা না কষ্ট হচ্ছে মার খেয়ে তার
থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে আপুর কথা গুলো
শুনে...........
আমাকে অনেক মারা হলো তারপর বাসা থেকে
বের করে দেওয়া হলো,,,
ঠিক মতো হাটতে পারছি না পুরা শরীর ব্যাথ্যা
করছে,,
আজ মা, বাবার, কথা অনেক মনে পরছে,



আজ প্রায় এক মাস ধরে বাসায় বাহিরে আছি কেউ
আমার খোজ খবর নাই না,,,,
আমি মাঝে মাঝে তাদের খোজ খবর নিই সবাই
ভালোই আছে, আপুর কি একটা অসুখ হয়েছে
কিন্তু ঠিক ভাবে কিছুই জানতাম না,,,,,,
এসব জানতাম আমার বন্ধুর কাছে থেকে,,,,
এখন আমি হোটেলে কাজ করছি হটাৎ বন্ধুর
আগমন,,,,
বন্ধু→ এই রাজু কাহিনি জানিস,,,,
আমি→ কিসের কাহিনিরে,,,,
বন্ধু→ আরে দিপা আপুর তো মরা মরা অবস্থা,
তার নাকি দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে,
কিন্তু কোথাও কিডনি খুজে পাচ্ছে না,,,,
আর আজকে মধ্যে কিডনি খুজে না পাওয়া
গেলে,,, নাকি তাকে বাচানো যাবে না,,,
আর এখন তাকে রাজশাহি মেডিকেলে রাখা
হয়েছে,,,,,
এসব কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে শুরু
করে,,,,,,,,,,,,,,,




→এখন কেমন লাগছে মা,,,,,
→ হুমমমম আম্মু ভালো,,,,
→ ঠিক সময় যদি তোর কিডনি না পাওয়া যেন তাহলে
হয়তো তুই আর বেচে থাকতি না,,,
→ কিন্তু আম্মু কিডনি তো নাকি পাওয়া যাচ্ছিলো না,,
তাহলে,,,,
→ জানি নারে মা তোকে নাকি কেউ তার দুইটা কিডনি
দান করেছে.....
→ কে আম্মু.....
→ সেটা তো আমরাও জানিনা,
তোর বাবা অনেক জাবার চেষ্টা করেছে কিন্তু
জানতে পারিনি,,,,,
এসব কথা হচ্ছিল দিপা এবং তার মায়ের তখনি ডাক্তার
এসে দিপার হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে দিলো আর
বললো যে তোমাকে কিডনি দুইটা দিয়েছে সে
তোমাকে এই চিঠিটা দিতে বলেছে,,,,,,,
তাই দিপা চিঠিটা পেয়েই পড়া শুরু করে.......
..………… 
প্রিয়
আপু, মা, বাবা এখন হয়তো আমিও আর এই নাটকীয়
পৃথিবীতে নেই,
এই আপু আজ প্লিজ রাগ করিস না আজ তোকে তুই
বলতে অনেক মন চাইলো রে,,,
আর চাচি তোমাকেও না বলে ফেললাম তুমি কি
আজও রাগ করবে বলো,,,
রাগ করো না আর তো কখনো বলবো না
আজকেই শেষ,,,,,,,,
জানিস আপু আমি আজ অনেক খুশি কানর আজ আমাকে
আর কেউ কষ্ট দিতে পারবে না,
আর কেউ আমাকে প্রতিদিন চর মারতে পারবে না,
তোর অনেক রাগ হচ্ছে অনেক তাই নারে তুই
আর কাউকে চর মারতে পারবি না,
এখন তোকে নিজের কাপড় নিজেই ধুতে হবে,
কি করবো বল আপু আমি তো তোদের ছেরে
যেতে চাইনি রে,,,,
কিন্তু কি করবো বল তোকে বাচানোর আর যে
কোনো পথ ছিলো না রে,,,
আর তোর যদি কিছু হতো তাহলে তো বাবা,মা
অনেক কষ্ট পেতো তারা তো বেচে
থেকেও মরে যেতো রে,,,
আর আমি তো কাউকে আর কখনো আপু বলতে
পারতাম না,,
আমি জানি আমি যখন তো কে আপু বলতাম তখন
তোর অনেক রাগ হতো,
কিন্তু বিশ্বাস কর আপু আমার না অনেক ইচ্ছে
হতো আমাকেও কেউ আদর করে ভাই বলে
ডাকুক,
কিন্তু তুই তো আমাকে ছোটলোক বলে ডাকতি,
আর তখন আমি রুমে গিয়ে অনেক কাদতাম,
আমি ভাবতাম আমি যদি তোর নিজের ভাই হতাম তাহলে
কি এমন করতি আমার সাথে,,
অনেক কষ্ট হতো তখন আমার কিন্তু তাও
তোকে বার বার আপু বলতে মন চাইতো,,,,
তুই যখন আমার খাওয়া বন্ধ করে দিতি তখন আমি শুধু
পানি খেয়ে থাকতাম অনেক খুদা লাগতো জানিস
আপু!
আর মা তুমি যন আপুকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে
দিতে আমারও না অনেক ইচ্ছে হতো তোমার
হাতে খেতে কিন্তু কখনো ভয়ে বলতে পারিনি
যদি তুমি আমাকে মারো,
আর জানো মা আমি না টাকা গুলো চুরি করিনি,
এই আপু বলনা মাকে যে আমি টাকাগুলো চুরি করিনি
তুই তো সবি জানিস,
আমাকে যখন রনি তার বেল্ট দিয়ে মারছিলো আমার
বা তখন অনেক লাগছিলো রে আপু,
আর তুই তখন হাসছিলি,
তাও আমার কোনো দুঃখ নেই রে আপু,
আপু তুই কি এখন আমার জন্য কাদছিস আমি জানি তুই
কাদবি না কারন আমি তো তোর কেউ না তাই না,
আপু তোর কাছে একটা জিনিস চাইবো দিবি আমাকে
একবার ভাই বলে ডাকবি রে আপু অনেক ইচ্ছে
করে তোর মুখে ভাই ডাক শুনতে,
ডাক নারে আপু তুই ডাকলে আমি ঠিক শুনে পাবো,
প্লিজ ডাক,,,,,
আর মা তোমার কাছে আমার একটায় চাওয়া আমার
লাশটায় তুমি একবার মাথায় হাতবুলিয়ে জরিয়ে ধরবে,
বাবা তুমি কাদবা না কিন্তু আমি তো আপুর মাঝেই
বেচে থাকবো,
আর আমাকে কিন্তু আমার বাবা, মার কাছে কবর দিবা,
এই আপু তুই এখনো আমাকে ভাই বলে ডাকলি না,
ডাক নারে একবার এটাই তো শেষ রে আপু প্লিজ
ডাক!
থাক আর ডাকতে হবে না,
ভালো থাকিস কেমন,
আর আমার কথায় কিছু মনে করিস না,
লাভ ইউ রে আপু,,,,,,,,,,,
ইতি তোমাদের
বাসায় আপদ!
চিঠি তা পরে দিপা চিৎকার দিয়ে কেদে উঠে
আর বলতে থাকে এই ভাই ফিরে আই না,
আমি আর তোকে কখনো কষ্ট দিবো না প্লিজ
তুই ফিরে আয়.........
কিন্তু সে তো আর কখনোই ফিরে আসবে
না......
আর যে তাকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার
দেশে ।


_______সমাপ্ত_______


কেমন হয়েছে জানাবেন সবাই